কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়

 

বর্তমানে বাজারে যখন বেকারত্বের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তখনও কিছু অদম্য যোদ্ধারা নিজের জীবনের সঙ্গে সর্বদা সংগ্রাম করে যাচ্ছে কিছু টাকা ইনকাম করে পরিবার চালানোর জন্য। তবে শুধু কি কঠোর পরিশ্রম করেই টাকা ইনকাম করা যায়? অন্য কোন মাধ্যম নাই? থামেন ভাই আগেই আমাকে ভুল ভুইঝেন না আমি এইটা বলছিনা যে, পরিশ্রম ছাড়া টাকা ইনকাম করা যায়। তবে কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায় / ঘরে বসেই কম পরিশ্রমে ইনকাম করতে পারা যায় এইটা কি কখনো ভেবে দেখেছি আমরা। শুধু সারাদিন ফোনে রিলস আর শর্টস দেখে যাচ্ছি আর নিজেদের জীবনের প্রয়োজনীয় সময় অপচয় করে যাচ্ছি অথচ আমাদের জানাই নেই যে আমাদের হাতের এই এন্ড্রোয়েড ফোনের দ্বারাই ইনকাম করা সম্ভব ।

কিভাবে-ফ্রি-টাকা-ইনকাম-করা-যায়
বর্তমান যুগে "ফ্রি টাকা আয়" কথাটা শুনলেই অনেকের মনে সন্দেহ জাগে সত্যিই কি ফ্রি টাকা ইনকাম সম্ভব? উত্তর হলো, হ্যাঁ, সম্ভব, তবে তা কোনো পরিশ্রম ছাড়া নয়। বরং নিজের দক্ষতা, সময় ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সঠিক উপায় জানলেই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায় একদম ঘরে বসে। এইটা পড়ে হয়তো অনেকেই অবাক হচ্ছেন হওয়াটাই স্বাভাবিক তবে চলুন আজকের ব্লগটি পড়ে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায় ।

পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়

কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়

"কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়" বলতে গেলে এখন প্রায় প্রতিটি বাঙ্গালিদের মনে সর্বদা এই চিন্তা ঘুরপাক খায়। আর এই চিন্তা মাথায় আসাটা খুবই স্বাভাবিক কারণ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩ এর হিসাবে এই বাংলাদেশে প্রায় "মোট বেকারের সংখ্যা ৬২ লাখ ৫৭ হাজার জন এর মাঝে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৫৪ লাখ ১৭ হাজার"। 

কতদিন বন্ধুদের সাথে চা এর স্টলে বসে ব্যবসা করার নিয়ত করলাম অথচ দিনশেষে শুধু আড্ডাই দেওয়া হলো কাজের কাজ কিছু হলো না , প্রতিদিন রাতে ভাবছি কালকে থেকে কিছু করে দেখাবো কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই আবার সেই ফেসবুক,ইন্সটাগ্রামে রিলস দেখে সময়টা জলাঞ্জলি দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু এইভাবে আর কতদিন পিতা-মাতার উপর কত বোঝা হওয়া যায়?

অথচ আমরা আমাদের বাসার এন্ড্রোয়েড ফোন অথবা যাদের বাসাই পিসি/ল্যাপটপ রয়েছে তা থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারি আজকের ব্লগে আমরা এই নিয়েই আলোচনা করতে যাচ্ছি "কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়"। ফ্রি ইনকামের অনেক মাধ্যম রয়েছে যেমনঃ ব্লগিং,ফ্রিল্যান্সিং,কন্টেণ্ট লিখা ইত্যাদি জানতে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়তে থাকুন

মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করুন

"মার্কেটপ্লেস" হয়তো অনেকেই এই কথাটির সঙ্গে পরিচিত আবার অনেকেই এই কথাটি না শুনেই থাকতে পারেন। আচ্ছা আপনাদের জন্য যেন সহজ হয় সে ভাবেই আমি সাজিয়েছি শুরুতেই আমরা জানবো "মার্কেটপ্লেস" কি? এবং এইখানে থেকে "কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়"।

আচ্ছা অনেকেই হয়তো মনে করে থাকতে পারেন আমি বাজারের কথা বলছি আসলে এটি সে মার্কেটপ্লেস নয় । এটি হলো অনলাইন "মার্কেটপ্লেস" অবশ্য এইখানেও কেনা-বেচা চলে তবে এইটা সেইরকম কেনা-বেচা না এইটা হলো , ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার দের কাজ আদান-প্রদান করার মাধ্যম। এককথায় বলা যায় যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন বা করতে চান তাদের জন্য এটি হলো কাজ পাওয়ার সংযোগ ক্ষেত্র ।এইখানেই অনলাইন কাজের পেমেন্ট পেয়ে থাকেন ফ্রিল্যান্সাররা ।
কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসঃ
  1. Upwork
  2. Fiverr
  3. Freelancer.com
  4. Guru
  5. Toptal
এইখানেই তাদের কাজের সুযোগ তৈরি হয় । সুতরাং যারা ফ্রি ইনকামের মাধ্যম খুঁজছেন এটি হতে পারে আপনাদের ভালো সুযোগ। নিচে আরো বিস্তর আলোচনা রয়েছে পড়তে থাকুন আশা করি বুঝে যাবেন,ইন-আল্লাহ্‌ ।

গুগল ব্লগারে ব্লগ লিখে আয় করা সম্ভব

ফ্রি টাকা ইনকামের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো ব্লগিং করা । আপনারা মনে করতে পারেন আমি Vlogging বলতে চাচ্ছি আসলে তা নয় আমি ব্লগিংই বলছি । ব্লগ মানে হলো আর্টিকেল লেখা । যাদের লেখালেখি করার অভ্যাস রয়েছে তাদের জন্য হতে পারে এটি একটি অন্যতম মাধ্যম।

এই ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আগে আপনাকে প্রথমে একটি অনলাইন ব্লগ লিখতে হবে । ব্লগার সাইটের সাহায্যে আপনি সহজেই ব্লগটি লিখতে পারবেন। ব্লগিং এর টপিক/নিশ বিভিন্ন ধরনেরষতে পারে যেমনঃ ভ্রমন গাইড,সমকালীন তথ্য,স্বাস্থ্য ইত্যাদি। তবে আমার মতে আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন সেই নিশ অনুযায়ী আপনার আর্টিকেল লেখা উচিত। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার লেখাটি ভালো মানের হয়।

এইভাবে প্রতিদিন নিয়মমতো যদি ব্লগ লিখে পাব্লিশ করতে থাকেন তবে আপনার সাইটে ভিজিটর আসা শুরু করবে, তারপর যখন আপনার ব্লগে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ব্লগ দেখা শুরু করবে তখন আপনি ফ্রিতে টাকা আয় করতে শুরু করবেন । এই ভিজিটর সংখ্যা যদি বেশি হতে থাকে তবে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন অতঃপর অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ হলে আপনি বিজ্ঞাপন দেখিয়ে উপার্জন করতে পারবেন।

সাধারনত একটি ব্লগ থেকে ৬মাস - ১ বছরের মাঝেই ইনকাম শুরু হয়ে যায়। তবে এটি সম্পুর্ন নির্ভর করছে আপনি আপনার কাজে কতটুকু সময় ও পরিশ্রম করছেন এর উপরে । তবে মজার ব্যাপার কি জানেন? ব্লগ থেকে একবার টাকা ইনকাম শুরু হয়ে গেলে এই টাকার পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন

ফ্রি তে ইনকাম মানেই বেশিরভাগ আপনাদের ইচ্ছা ঘরে বসে উপার্জন করার, আর যদি ইচ্ছা তাই হয়ে থাকে তবে আপনাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে ভালো অপশন । ঘরে বসে ইনকাম করার এক অন্যতম মাধ্যমই হলো "ফ্রিল্যান্সিং"। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে হয়ে থাকে যা আমরা শুরুতেই পড়েছি।

Upwork,Fiverr Etc. মার্কেটপ্লেসে আপনারা চাইলে বিভিন্ন কাজ করতে পারেন নিজের ইচ্ছামতো আর এতে কাজ করার চাপ থাকে কম। ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে যেমনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইন, থামবনেইল ডিজাইন, ভিডিও ইডিটিং, SEO etc.
তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আপনার একটি ভালো পিসি/ল্যাপটপ আর ভিডিও ইডিটিং এর শ্যুটের জন্য আপনার ক্যামেরার প্রয়োজন হবে। তাই যারা ঘরে বসে একদম আরামে কাজ করতে চান তাদের জন্য ফ্রিল্যন্সিং বেস্ট সেক্টর।

ইউটিউবে কন্টেন্ট বানিয়ে আয় করতে পারেন

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি সময় কাটাই অনলাইনে বিশেষত যদি বলা যায় সেটি হলো ইউটিউবে সময় কাটাই। বর্তমানে ছোট বাচ্চাদেরও আমরা ইউটিউব দেখানো শুরু করেছি। কারন এইখানে অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে সকল প্রকার টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। বিনোদন প্রেমীদের জন্য তো ইউটিউব ই সব। নাটক,সিনেমা,মুভি রিভিও সহ সকল প্রকার ফানি কন্টেন্টের সমারোহ এই ইউটিউবে রয়েছে । একপ্রকার বলতে গেলে বিনোদনের জন্য ইউটিউব এক অনন্য নাম। তাই আপনারা চাইলে এইখানে কন্টেন্ট বানিয়েও ইনকাম শুরু করতে পারেন ।
কিভাবে-ফ্রি-টাকা-ইনকাম-করা-যায়
আপনার ভিউস এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়লেই মনিটাইজেশন আসবে যেখানে হতে আপনি আয় করতে পারবেন আর তার সাথে তো স্পন্সার পেতেও শুরু করবেন তাই সহজেই ইনকামের জন্য ইউটিউবে কন্টেন্ট পাব্লিশ করা আপনার ইনকামের জন্য একটি ভালো শুরু হতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে ফ্রি টাকা ইনকাম করার একটি অন্যতম সেরা মাধ্যম।কারন এই মার্কেটিং কোন প্রকার টাকা বা ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই করা যায়। এটি করতে আপনার নিজের ফেসবুক,টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্যাউন্ট থাকলেই হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেইখানে আপনি কোনো কোম্পানির পণ্যের লিংক বা সেবা প্রচার করবেন, আর কেউ যদি আপনার দেওয়া লিংক ব্যবহার করে সেই পণ্যটি কেনে তখন আপনি সে পন্যের দাম থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

বাংলাদেশের এখন অনেকেই এই পদ্ধতিতে আয় শুরু করছেন, বিশেষ করে ব্লগার, ইউটিউবার, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা । সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো আমাদের সমাজের শিক্ষার্থীরাও এই কাজটি করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় -আপনি যদি কোনো রিভিউ ব্লগ লিখেন বা ইউটিউবে পণ্যের ভিডিও রিভিউ দেন, তাহলে ভিডিওর নিচে বা ব্লগে সেই পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক দিতে পারেন। বা আপনি আপনার ফেসবুক পেজে নির্দিষ্ট পন্যটির রিভিও দিয়ে পন্যটির লিংক কমান্ট বক্সে দিলেন।এখন কেউ যদি সেই লিংক থেকে পণ্য কিনে, তবে আপনি সেই পন্যের দাম হতে কমিশন পাবেন।

জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম:
  • Amazon Associates
  • ClickBank
  • ShareASale
  • Daraz Affiliate Program 
  • Impact বা CJ Affiliate 
কিভাবে শুরু করতে পারেন ?
  • প্রথমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিশ বেছে নিতে হবে,যেমন টেক ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, ফ্যাশন, ভ্রমণ গাইড ইত্যাদি।
  • তারপর একটি ওয়েবসাইট, ব্লগ, বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি বা ওপেন করুন।
  • অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন আপ করুন এবং নিজের লিংক সংগ্রহ করুন।
  • সেই লিংক নিজের কনটেন্টে ব্যবহার করে ট্র্যাফিক আনুন।
সতর্কতা:
অবিশ্বাস্য আয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় এমন ভুয়া সাইটে যোগ দেওয়া থেকে সতর্ক থাকুন। সবসময় অফিসিয়াল প্রোগ্রাম বেছে নিন এবং নিজের দর্শকদের আস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

কন্টেন্ট লিখে আয় করতে পারা যায়

কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায় ব্লগের শুরুতেই আমরা বলেছি কিভাবে লিখে আয় করা যায় তাই এইখানে নতুন করে আর কিছু বলার নেই কারন ইতিমধ্যেই আমি ব্লগার এবং ইউটিউব কন্টেন্ট নিয়ে কথা বলেছি যা আপনারা পড়েছেন । শুধু নতুন করে এটিই বলতে চাই বাংলাদেশে অনেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের চ্যানেল বা পেজের জন্য কন্টেন্ট রাইটার খুঁজে থাকে এদের বেতনও ভালো পরিমাণের হয়ে থাকে তাই যারা নিজেদের চ্যানেল খোলার প্যারা নিতে চান না তারা এইভাবে অন্যের জন্য কন্টেন্ট লিখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয় করা যায়

বর্তমান এআই এর দুনিয়ায় গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন এক দক্ষতা, যার চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে । ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ডিং সব জায়গায় এখন ভিজ্যুয়াল কনটেন্টের গুরুত্ব অপরিসীম। ইউটিউব কন্টেন্টের মতোই যদি কেউ ঘরে বসে আরামে ইনকাম করতে চায় তাদের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন হবে আমার মতে সবচেয়ে ভালো অপশন । সত্যি বলতে এইটি আমার ব্যাক্তিগত ভাবে পছন্দের।

আমাদের দেশের অনেকেই এখন ঘরে বসে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ও ল্যাপটপ/পিসি ব্যবহার করে ভালো পরিমাণ টাকা রোজগার করছে। শুরুতে খুব বেশি কিছু জানা লাগবে না শুধু "Adobe Photoshop, Illustrator, বা Canva"এর মতো টুল ব্যবহার শেখা দরকার। যদি সেটিও জানা না থাকে তবে ইউটিউবেই সকল কোর্স ফ্রি তে দেওয়া থাকে। তবে বেশি ভালো এবং দক্ষ হতে চাইলে একটি টাকা দিয়ে কর্স করে নেওয়াটা ভালো কারন এতে থেকে যেহেতু আমরা টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছি। তাছাড়া এই স্কিলটি ভবিষ্যতে চাকুরীর ক্ষেত্রেও ভালো ভুমিকা রাখবে।

শুরুতেই আপনার করা কয়েকটি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ যদি আপনার গিগ প্রোফাইলে পোস্ট করা থাকে তা দেখেই মানুষ আপনাকে তাদের কাজে নিয়োগ দেবে যে কাজ গুলো আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন।এই কাজের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এই কাজের জন্য আমাদের কোনো অফিসে যেতে হয় না। নিজের সময়মতো কাজ করে আপনি স্বাধীনভাবে আয় করতে পারবেন।

তাই যদি আপনি সৃজনশীলতা ভালোবাসেন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চান, তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে আপনার আয়ের সবচেয়ে সুন্দর ও বাস্তব উপায়।বর্তমান বিশ্বে এই চাহিদা প্রচুর রয়েছে । তাই আপনি যদি এই কাজে দক্ষ ও পরিশ্রমী হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এটি হবে সবচেয়ে উত্তম পন্থা।

ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয় করা যায়

প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট ওপেন করতে হবে। ওয়েবসাইট আপনি ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেসে খুলতে পারেন । খোলার পরে আপনাকে ২০০০ টাকার মতো খরচ হবে একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন (.com,.net.org) এবং একটি হোস্টিং প্যাকেজ কিনার জন্য ।

এইভাবেই আপনার ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ পোস্ট করতে থাকতে হবে, আর সেইসাথে লোকজন আপনার ব্লগ পড়তে থাকবে এবং ভিজিটর আসতে শুরু করবে যখন এইভাবেই পোস্ট ভিজিটর সংখ্যা বাড়তে থাকবে তখন আপনাকে GoogleAdsense অনুমোদন দিবে । এইভাবেই যখন আপনার ওয়েবসাইট টি প্রফেশনালি রান করতে শুরু করবে তখন আপনি এই সাইটটি বিক্রি করতে পারবেন

যদি আপনার সার্চইঞ্জিন থেকে প্রচুর ভিউ আনতে পারেন তবে আপনার এই সাইটটি সহজেই ৫০-৬০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করতে পারবেন । বলা যায় এটিও ফ্রি ইনকামের আরেকটি মাধ্যম ।

ফেসবুককের মনিটাইজেশন থেকে আয় সম্ভব

বর্তমানে ফেসবুক শুধু সোশ্যাল সাইটে সীমাবদ্ধ নেই এর পরিসর আরো বেড়েছে কারন এখন বর্তমানে আমরা ফেসবুক থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারি । ফেসবুকে ইনকাম করার এখন অনেক মাধ্যম রয়েছে, যেমনঃ Ads on Reels,Facebook Star Program,Facebook Marketplace etc. 

বর্তমানে শুধু বড় ভিডিও বানিয়ে নয় বরং রিলস আকারে ভিডিও বানিয়েও টাকা ইনকাম সম্ভব হচ্ছে।শুরুতেই আমরা ইউটিউবের মনিটাইজেশনের কথা পড়েছিলাম এই মনিটাইজেশন শুধু ইউটিউবেই সীমাবদ্ধ নয়, ফেসবুকেও মনিটাইজেশন অন করা যায় যা থেকে ডলার ইনকাম হয়ে থাকে।

এই মনিটাইজেশন চালু করতে কিছু নিয়ম পালন করা দরকার
  • একটি পেশাদার Facebook Page তৈরি করতে হবে
  • কমপক্ষে পেজ প্লোফাইলে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে
  • গত ৬০ দিনে ৬০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে
  • নিয়মিত পোস্টের সাথে ফলোয়ার ও এনগেজমেন্ট বাড়াতে হবে 
  • নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট ও ফেসবুকের নীতিমালা অনুসরণ করে পোস্ট করতে হবে
এই শর্তগুলো পূরণ করতে হবে তবেই আপনি সহজেই মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর একবার এই অনুমোদন পেলে, আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন চালু হবে এবং আপনি ডলার আয় করতে শুরু করবেন।

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন শুধু ফেসবুক থেকেই। তাই আপনি যদি ভিডিও বানাতে পছন্দ করে থাকেন, তবে আজই নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে আপনিও ইনকাম শুরু করতে পারেন । ফ্রি তে ইনকাম শুরু করার এর চেয়ে সহজ মাধ্যম হয়তো আর দ্বিতীয়টি নেই ।

ফুডপান্ডা রাইডার হিসেবে কিছু উপার্জন করা যায়

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে ফুড ডেলিভারি সার্ভিসগুলোর মধ্যে ফুডপান্ডা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। শহরের ব্যস্তময় জীবনে মানুষ এখন অনলাইনে খাবার অর্ডার করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে, আর সেই খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে থাকেন ফুডপান্ডার রাইডাররা।যার ফলে অনেক মানুষই তাদের পার্টটাইম  কাজের জন্য এই রাইডিং কাজটি কে বেছে নিচ্ছেন।

জেনে নিন ফডুপান্ডা রাইডার হওয়ার কিছু শর্তাবলি
  • ফুডপান্ডা রাইডার হিসেবে কাজ করতে হলে প্রথমে আপনাকে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
  • একটি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোবাইল ফোন এবং একটি পরিবহন মাধ্যম প্রয়োজন হয়, যেমনঃ মোটরসাইকেল বা সাইকেল।
  • অনুমোদন পেলে আপনি তাদের অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার পেতে শুরু করবেন এবং ডেলিভারি করে একটি ভালো হাত খরচ বের করতে পারবেন 
প্রতিটি ডেলিভারির জন্য নির্দিষ্ট ভাড়ার পাশাপাশি বোনাসও পাওয়া যায়। সাধারণত একজন রাইডার দিনে গড়ে ১৫ থেকে ২০টি ডেলিভারি করলে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। মাস শেষে এই আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে, যা অনেকের জন্য একটি ভালো পার্টটাইম বা ফুলটাইম ইনকামের উৎস হিসেবে ধরতেই পারি আমরা ।
কিভাবে-ফ্রি-টাকা-ইনকাম-করা-যায়
এর আরেকটি ভালো দিক হলো আপনারা নিজের সময় অনুযায়ী কাজটি করতে পারবেন। সকাল, বিকেল বা রাতে যেকোনো সময় অনলাইনে গিয়ে ডেলিভারি শুরু করতে পারবেন। ফলে যারা ছাত্র, ফ্রিল্যান্সার বা পার্ট-টাইম কাজ খুঁজছেন এমন তরুণদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ হতে পারে।

তবে মনে রাখতে হবে, এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দায়িত্ববোধ, সময়মতো ডেলিভারি ও গ্রাহকের সাথে ভালো আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। এসব বজায় রাখলে ফুডপান্ডা রাইডার হিসেবে শুধু আপনি কেবল ইনকাম করবেন তা নয়, বরং ভবিষ্যতে একটি স্থিতিশীল ক্যারিয়ার গড়ে তোলার পথে একধাপ এগিয়ে থাকবেন ।

শাটারস্টক অ্যাপের সাহায্যে ইনকাম করা যায়

আমরা যারা ছবি প্রেমী রয়েছি মানে যাদের ফটোগ্রাফি করার শখ খুব তাদের জন্য এই টপিক হতে পারে লাভজনক। আজকের ডিজিটাল যুগে ছবি তোলা আর ভিডিও ধারন করা শুধু স্মৃতি ধরে রাখার মাধ্যম হিসেবে নয় বরং এটি হয়ে উঠেছে আয়ের উৎস। যদি আপনি ফটোগ্রাফি ভালোবাসেন, তাহলে।শাটারস্টক (Shutterstock) হতে পারে আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের হাজার হাজার ফটোগ্রাফার, ডিজাইনার ও ভিডিওগ্রাফার এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিয়মিত আয় করছেন।

শাটারস্টক হলো এমন একটি আন্তর্জাতিক স্টক ফটো ও ভিডিও মার্কেটপ্লেস, যেখানে মানুষজন ছবি, ভিডিও, কিনে থাকে এবং তাদের ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। আপনার যদি সুন্দর ছবি তোলার আগ্রহ বা ডিজাইন তৈরি করতে ভালো লাগে, তাহলে আপনাদের তোলা সেই ফাইলগুলো শাটারস্টকে আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন। এবং যখনি কেউ আপনার কনটেন্ট ডাউনলোড করবে তখন আপনি একটি নির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে যাবেন।

শাটারস্টক অ্যাপ দিয়ে কাজ করার সুবিধা হলো শাটারস্টক মোবাইল অ্যাপও চালু করেছে "Shutterstock Contributor App" নামে। এই অ্যাপটি ব্যবহার করলে আপনি ঘরে বসে বা বাইরে ঘুরে বেড়ানোর সময়েও আপনার তোলা ছবি আপলোড করতে পারবেন।

এই অ্যাপের মূল সুবিধা হলোঃ

  • আপনি নিজের মোবাইল থেকেই ছবি আপলোড ও সাবমিট করতে পারবেন
  • কোন ছবি কি দামে বিক্রি হচ্ছে তা লাইভ দেখা যায়
  • নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আপনাকে বিক্রির আপডেট দেওয়া হবে
  • সহজে ব্যালান্স ও রিপোর্ট চেক করতে পারবেন 
  • "Shutterstock Contributor App" Android ও iOS এই দুই প্ল্যাটফর্মেই ফ্রি পাওয়া যায়।

কীভাবে আয় শুরু করবেন?

  • প্রথমেই Shutterstock Contributor এ গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলবেন 
  • এরপর মোবাইলের Contributor App ডাউনলোড করে নিবেন
  • নিজের তোলা ছবি, ভিডিও  ফাইল আপলোড করে দিবেন
  • শাটারস্টকের টিম আপনার কনটেন্ট রিভিউ করে অনুমোদন দিলে তা বিক্রির জন্য প্রকাশিত করা হবে

আরো পড়ুনঃ মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে করণীয়

প্রতিবার কেউ যদি আপনার ছবি ডাউনলোড তবে আপনি সেইখানে হতে কমিশন পাবেন যা সাধারণত প্রতিটি বিক্রিতে $0.10 থেকে শুরু করে $10 বা তার বেশি পর্যন্ত হতে পারে। শুরুতে আয় কম মনে হতে পারে আমাদের কিন্তু নিয়মিত মানসম্পন্ন ছবি আপলোড করতে থাকলে আমাদের কনটেন্ট লাইব্রেরি বড় হতে থাকবে ফলে বিক্রিও বাড়বে। অনেক আমাদের দেশের ফটোগ্রাফার এখন প্রতি মাসে ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করছেন শুধুমাত্র শাটারস্টকের মাধ্যমেই। তাই দেরি কিসের আপনি যুক্ত হয়ে যান।

ফ্রি টাকা ইনকাম সাইট 2025

ঘরে বসে থেকে হুদাই রিলস দেখে সময় নষ্ট না করে যদি ঘরে বসেই কিছু টাকা ইনকাম করে পরিবার কে সাহায্য করা যায় তবে সেটি অনেক শ্রেয় আমার মতে। এখন আমাদের দেশে ফ্রি টাকা ইনকাম apps 2025 নিয়ে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে, কারণ এখন এমন অনেক অ্যাপ/গেম রয়েছে যেখানে মোবাইলে কিছু ছোট কাজ করেই বিকাশে উপার্জন তোলা সম্ভব। তাই যারা নতুন, তারা প্রথমেই জানতে চান কোন অ্যাপগুলো থেকে সত্যিই ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025 নেওয়া যায়। নিম্নে গুলোর নাম দেওয়া হলোঃ
  • Swagbucks
  • Mistplay
  • Google Opinion Rewards
  • Toluna
  • Winzo
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে বেশ কিছু রিওয়ার্ড বেসড অ্যাপ,সার্ভে অ্যাপ,রেফার বোনাস অ্যাপ এবং ছোট টাস্ক অ্যাপ কাজ দিয়ে থাকছে। অনেক অ্যাপ আছে যেখানে ভিডিও দেখা, অ্যাপ ইনস্টল, সার্ভে ফিলআপ, বা রেফার করলেই সঙ্গে সঙ্গে কয়েন বা পয়েন্ট দেওয়া হয়, যা পরে ক্যাশে রূপান্তর করে বিকাশে তুলতে পারে। তাই ব্যবহারকারীর প্রথম চেকলিস্ট হওয়া উচিত অ্যাপটির পেমেন্ট প্রুফ, রিভিউ এবং ইউজার রেটিং দেখে নেওয়া। কারণ বাজারে এমন অনেক ফেক অ্যাপও থাকে,যেগুলো শুধু সময় নেয় কিন্তু পেমেন্ট দেয় না।

ফ্রি টাকা ইনকাম সাইট ২০২৫ সালে যেসব অ্যাপ বেশি জনপ্রিয় হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক রিওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম, যেগুলো বাংলাদেশে বিকাশ, নগদ বা পেপাল যেকোনো মাধ্যমে পেমেন্ট দিতে পারে। তাই আপনার যদি নিয়ত হয়ে থাকে ছোট আকারে উপার্জন শুরু করা, তাহলে আমার সাজেশন হবে প্রথমে ২-৩টি বিশ্বস্ত অ্যাপ বেছে নিয়ে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা তৈরি করা। বিশেষ করে যেসব অ্যাপ সত্যিই ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025 দিচ্ছে, সেগুলোতেই সময় দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

সবশেষে যা বলতে চাচ্ছি তা হলো ,এইরকম সাইট বা অ্যাপ এগুলো দিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় হবে না। তবে নিয়মিত টাস্ক করলে আপনাদের মোবাইলের ছোট রিচার্জ, ইন্টারনেট বিল, বা মাসিক ছোটখাটো ব্যয় সহজেই ওঠানো সম্ভব।তাই নতুনদের জন্য এটা দারুণ একটি সাইড-ইনকাম অপশন বলে আমি মনে করি।

অনলাইনে ফ্রি ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট

যেসব অনলাইন অনলাইন সাইটে সরাসরি বিকাশ বা নগদ এ পেমেন্ট নেওয়ার সুবিধা রয়েছে সেগুলো থেকে খুব সহজেই আমরা বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নিতে পারবো। এখন মনে হয়তো প্রশ্ন জাগবে যে কিভাবে নিবেন?
আরে প্যারা নাই চিল আমি আছি কিসের জন্য! বলে দিচ্ছি। প্রথমে ঐসকল অ্যাকাউন্ট এর প্রোফাইল এ প্রবেশ করবেন। তারপর ডিপোজিট অর্থাৎ ডিপোজিট ব্যালেন্স অপশন এ ক্লিক করবেন। তারপর পেমেন্ট মেথড এ গিয়ে ক্লিক করে আপনার সুবিধা অনুযায়ী আপনি কোথায় টাকা নিবেন বিকাশ, নগদ নাকি রকেট এ সেইটা সিলেক্ট করবেন। তারপর আপনার নাম্বার দিয়ে মানি ডিপোজিট করে ফেলবেন।

আর এভাবেই আপনি মূলত এইসব সাইট থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন।তবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা অন্যান্য যেসকল মার্কেট প্লেস রয়েছে, যেমনঃ fiverr, up work, behance ইত্যাদি। এগুলো প্লেস হতে আপনি সরাসরি বিকাশ বা নগদ এ পেমেন্ট নিতে পারবেন না। আপনাকে আগে থার্ড পার্টির মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে হবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এ। তারপর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি আপনার ইচ্ছা মত বিকাশ বা নগদ এ পেমেন্ট নিতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্যঃ কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়

যেহেতু দেশের বেকারত্বের পরিমাণ অধিক বাড়ছে তাই "কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়" এইসব প্রশ্নের উত্তর জানার ইচ্ছাও আমাদের বাড়ছে। যদিও আমি সর্বাধিক চেষ্টা করেছি আপনাদের সর্বোচ্চটা জানানোর । বিনিয়োগ বিহীন ভাবে এর চেয়ে সহজ উপায়ে আর টাকা রোজগার হয় না প্রিয় ভাইওবোনেরা ।

যদিও সম্পূর্ন লিখাটিতে আমি ফ্রী কথাটি লিখে গেছি তবুও একটি কথা সবসময় মাথায় রাখবেন রুজি আল্লাহ্‌ নির্ধারন করেন আর আমরা তা গ্রহণ করি মাত্র। এইসব পন্থা ফ্রি মানেই যে আপনি ইনকাম করতে পারবেন বেপারটা তেমন নয়। ভাই আমার পরিশ্রম ব্যাতিত এই দুনিয়ায় কিছুই অর্জন হয়না সুতরাং আপনার চেষ্টায় আপনাকে সফল করতে পারে ।

দিনের শেষে একটা ব্যাপার খুবই সহজ ফ্রি টাকা ইনকাম শুনতে যত "ম্যাজিক" লাগে, বাস্তবে ততটাই "লজিক" একটু সময়, একটু স্কিল আর ধৈর্য থাকলেই পৌঁছাতে পারবেন নিজের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে তবে মাথায় রাখা উচিত টাকায় সব নয়,  কারণ "অর্থই সকল অনর্থের মূল"। তাই আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা শিখতে হবে । আর দোয়া করি যেসব ভাইরা এখনো বেকার আছেন রব তাদের একটি ইনকামের ব্যবস্থা করে দিক।আমিন

চলে আসলাম আজকের শেষ কথাতে এত বড় ব্লগের এই জায়গাটা পড়ছেন মানেই শেষ পর্যন্ত পড়ছেন  সেটির জন্য আমি অবশ্যই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং আপনাদের এই পড়ার প্রতি যে ভালোবাসা সেটি অমর থাকুক। তো আজকের ব্লগের সমাপ্তিটা এইখানেই ঘটছে । আর পরবর্তি বল্গটি কোন বিষয়ে চান সেইটি কমেন্ট করে জানাবেন আশা রাখছি । সকলেই ভালো থাকবেন, আমার জন্য দোয়া রাখবেন,
আস সালামু আলাইকুম ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The ClickEra এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কারণ,আপনাদের প্রতিটি কমেন্টে আমরা নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা পাই।

comment url