বিটরুট জুস এর উপকারিতা

দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার জীবনে আমাদের খাবারের তালিকায় অবশ্যই ভালো কিছু খাবার যোগ করা উচিত যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি। এবং এমন কিছু খাবার রাখা উচিত যা আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। এই তালিকায় আমরা চাইলে বিটরুট জুস যোগ করতে পারি ।

বিটরুট-জুস-এর-উপকারিতা
তবে আমরা অনেকেই এই বিটরুট জুস এর উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা । সেইকারনে আজকের ব্লগটা "বিটরুট জুস এর উপকারিতা" নিয়েই লেখা যা পড়ে আপনারা জানতে পারবেন এর বিভিন্ন খুঁটিনাটি সম্পর্কে । জানতে হলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন ।

পেজ সূচিপত্রঃ বিটরুট জুস এর উপকারিতা

বিটরুট জুস এর উপকারিতা

শুরুতেই আমরা পড়েছি এই বিটরুট নামের গাঢ় গোলাপি বা লালচে রঙের সবজিটি এখনও আমাদের দেশে খুব-একটা পরিচিত না। বিশেষত আমাদের দেশে শীতকালে এই সবজিটি বাজারে বেশি দেখা পাওয়া যায় । এই বিটরুট ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর। এতে রয়েছে আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।

এছাড়াও বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, রক্ত পরিশুদ্ধ রাখতে এবং কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি-র‍্যাডিকেল থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। আসুন দেখে নেই ১০০ গ্রাম বিটরুটে কি পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে । বিটরুটে থাকা নাইট্রেটস রক্ত চলাচল উন্নত করে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিটি 100 গ্রাম বিটরুটের পুষ্টির অনুপাত নীচে উল্লেখ করা হয়েছে আপনাদের জন্যে ঃ
  • শক্তি 43 কিলোক্যালরি
  • কার্বোহাইড্রেট 8.8 গ্রাম
  • খাদ্যতালিকাগত ফাইবার 3.5 গ্রাম
  • চর্বি 0.1 গ্রাম
  • প্রোটিন 1.7 গ্রাম
ইতিমধ্যে  আমরা বুঝতেই পারছি এই বিটরুট জুস এর উপকারিতা সম্পর্কে আরো আলোচনা এখনো অপেক্ষা করছে নিচের লেখা গুলোতে । 

বিটরুট কিভাবে খেতে/পান করতে পারবেন

যেহেতু আমাদের দেশে এখনো বিটরুটের তেমন জনপ্রিয়তা নেই ,তাই এই "বিটরুট" ফল নাকি সবজি এটি এখনো মানুষেরা বুঝতে পারেন না । শুরুতেই আমরা জেনে নেই যে এই বিটরুট হলো একপ্রকার সবজি ।

যেহেতু এইটি সবজি তাই আমরা এটিকে সাধারন সবজির মতো রান্না করে পরিবেষন করে খেতে পারি । তবে এটি আমরা কাঁচা ও খেতে পারি বরং এটি কাঁচা খাওয়া হলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা বলতে এটিকে সালাদ হিসেবেও আমরা খেতে পারি আবার চাইলে রান্না করেও খেতে পারি।

এ তো গেলো রান্না করে খাওয়ার কথা এখন আমরা আসি পান করার ক্ষেত্রে, এতক্ষনে অবশ্য সবাই বুঝে গেছেন বিট ফলের উপকারিতা সম্পর্কে। বিটরুট জুস/ পাউডার যাই বলেন না কেনো এর উপকারিতা রয়েছে এই বিটরুট এখন বর্তমানে অনলাইনে প্রিমিয়াম ভাবে বিক্রি হতে দেখা যায় ।

আপনারা চাইলে বিটরুট পাউডার কিনতে পারেন অথবা বাসাই এটিকে ব্লেন্ডারে দিয়ে এর রস বা জুস করে সেটিকে পরিবেশন করে পান করতে পারেন ।

উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কে নিয়ন্ত্রনে রাখে

বিটরুট দ্বারা উৎপাদিত নাইট্রিক অক্সাইড টিস্যুতে রক্ত ​​​​সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে এছাড়াও বিট ফল শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আমরা জানি একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর নারীদের মনোপজ হয়। শরীর তখন বেশি পরিমাণে লবণ শোষণ করে খাবার থেকে। যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।

যেখান থেকে শুরু হয় নানান অসুখ যেমনঃ বুক ধড়ফড় করা, মাথাব্যাথা এবং উদ্বেগ। আর উচ্চরক্ত চাপের ফলে কি কি সমস্যার দেখা দেয় তা আমরা ভালো ভাবেই জানি তাই এটি নিয়ন্ত্রনে বিটরুট কিন্তু  বেশ উপকারি ভূমিকা পালন করে থাকে ।

বিটরুট আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে

আমরা যারা ওজন কমাতে চাই তাদের জন্য বিটরুট জুস একটি ভালো খাবার ,কারণ এতে কোন ক্যালোরি বা চর্বি নেই। আপনি যদি এক মাসের জন্য প্রতিদিন সকালে আপেল সিডের ভিনেগার এবং বিটরুট জুসের মিশ্রণ পান করেন তবে এটি আপনাকে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনাকে ভালো বোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
বিটরুট-জুস-এর-উপকারিতা
১০০ গ্রাম সেদ্ধ বিট ফলে পাবেন ৪৪ ক্যালরি, ১ দশমিক ৭ গ্রাম প্রোটিন, ০ দশমিক ২ গ্রাম ফ্যাট ও ২ গ্রাম ফাইবার। সেদ্ধ বিটরুট খেলে পাবেন প্রচুর পুষ্টি, কিন্তু এতে ক্যালরি থাকবে কম। অর্থাৎ পুষ্টি ঠিক মতো পাবেন আর ওজনও বাড়বে না।

প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে

"প্রদাহ" শব্দটি হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না ।"প্রদাহ" হলো শরীরের ক্ষতিকারক উদ্দীপনার প্রতি একটি জৈবিক প্রতিক্রিয়া, ক্ষতিগ্রস্ত কোষ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ এবং সাধারণত তাপ, ব্যথা, লালভাব, ফোলাভাব ও কার্যক্ষমতা হ্রাসের মতো লক্ষণ দেখা দেয়। প্রদাহ স্বল্পকালীন বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং এটি একটি সাধারণ আঘাত বা সংক্রমণে সহায়ক, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষতিকর হতে পারে।

এছাড়াও বেশির ভাগ রোগবালাইয়ের মূল কারণ হলো প্রদাহ। শরীরের নানা ছোটখাটো সমস্যা সেরে না উঠলে মারাত্মক প্রদাহের রূপ ধারণ করে। আর বিটরুট অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহরোধী গুণে ভরপুর।

বিটের দারুণ গাঢ় রঙের নেপথ্যে আছে 'বিটালেইন' নামের রঞ্জক উপাদানটি। নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ বিটালেইনে থাকে প্রদাহরোধী উপাদান। ফলে প্রদাহ নিরসন করতে চাইলে বিটরুট জুস এর উপকারিতার বিকল্প নেই ।

ক্যান্সার রোগ দূর করতে সহযোগী

অনেকেই হয়তো জানেন না তবে কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিটরুট জুস এর উপকারিতা খুব এবং এটি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বিটরুটে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পিগমেন্টের কারণে ধারণা করা হয় লাল বিট কার্সিনোজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে যেটি কোলন ক্যন্সারের জন্য দায়ী।

আমরা যখন বিটফল খাই, তখন এর মাঝে থাকা নাইট্রেটগুলি আমাদের দেহে নাইট্রিক অক্সাইড নামক কিছুতে পরিণত হয়। এতে রক্তনালীগুলো খুলে যায়, যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে এটি আমাদের শরীরের চারপাশে রক্ত ​​​​প্রবাহকে আরও ভালো করে তোলে। এই কারণে, আমাদের হৃদয় শক্তিশালী হয় এবং আমাদের একটি নির্দিষ্ট হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন বিটরুট জুস এর উপকারিতা । 

দৃষ্টিশক্তির জন্য উন্নতি সাধন করে

বিটরুটে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যেমন লুটেইন এবং জিয়াজ্যানথিন থাকে, যা চোখের ম্যাকুলা এবং রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। এগুলো ক্ষতিকারক নীল আলো ফিল্টার করে এবং বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় এবং ছানি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে ।

বিটরুট আমাদের চোখের জন্য সত্যিই ভালো। এগুলো সবুজ হয়ে গেলে, আপনি সেগুলো রান্না না করে খেতে পারেন। যখন সেগুলো রান্না করা হয় বা পাকা হয়, তখন তাদের লুটেইন নামক কিছু থাকে, যা  আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিটগুলিতে উদ্ভিদ থেকে বিশেষ উপাদান রয়েছে যা আমাদের চোখ এবং তাদের চারপাশের স্নায়ুকে শক্তিশালী করে তোলে।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্মৃতিশক্তিও কমতে থাকে যা আমাদের জীবনে একটি সমস্যার সৃষ্টি করে । বিটরুট জুস আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিটরুটে উপস্থিত আছে বোরন এবং নাইট্রিক অক্সাইড যা আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহ পুনরুদ্ধার করে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে জ্ঞানীয় ক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে

বিটরুট জুসে থাকা নাইট্রেট রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে, ফলে আমাদের মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে আমাদের চিন্তাশক্তি,মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তির উন্নতি সাধন করে।বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত বিটরুট জুস পান মানসিক ক্লান্তি কমিয়ে মুড ভালো রাখে।

বিটরুট চা পান করতে পারেন

বিটরুট চা শুনে অবাক হওয়ার কিছুই নেই এটি আর সাধারন চা এর মতো করেই তৈরি করা যায় । এর জন্য আমাদের প্রয়োজন গরম পানি এবং বিটরুট পাউডার । পানি ফুটতে শুরু করলেই তার ভিতরে বিটরুট পাউডার দিয়েই বিটরুট চা তৈরি হয়ে যাবে । 
বিটরুট-জুস-এর-উপকারিতা
এই চা খেলেও শক্তি বৃদ্ধি পায়, ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে, রক্তচাপ শিথীল থাকে । মোট এর কাজও বিটরুট জুস এর উপকারিতার মতোই ।

যাদের খাওয়া/পান করা যাবে না

এইবার আসেন কিছু বাস্তবিক কথায় ফেরা যাক অনেক তো বিটরুট জুস এর উপকারিতা সম্পর্কে লিখলাম এবং আপনারা ধৈর্য ধরে পড়ছেন তবে এখন জেনে নেওয়া যাক এত উপকারি হওয়ার পরেও কাদের এইসব খাওয়া/পান করা যাবে  না । 
  • আমাদের যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য বিটরুট জুস ক্ষতিকর। কারণ এটি রক্তচাপ আরও কমিয়ে দেয়।
  • অনেকের এই বিটরুটে অ্যালার্জির সমস্যা থাকতে পারে ফলে তাদের এটি পরিহার করা উচিত
  • আমাদের যাদের কিডনি তে পাথর জনিত সমস্যা রয়েছে তাদেরও এটি এড়িয়ে চলা উচিত
  • অনেক ডায়েবেটিস রুগী ভাবতে পারেন তার এটি খেতে পারবেন তবে বিষয়টি এমন নয় । ডায়েবেটিস রুগীদেরও এটি খাওয়া উচিত নয়

বিটরুট নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা

বিটরুট যেহেতু আমাদের দেশে এখনো সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি তাই কিছু মানুষেরও কৌতূহল থেকে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলে যেমনঃ
  • একদিনে কতটুকু বিটরুট জুস খাওয়া উচিত?
  • গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া যাবে কি না ?
  • বিটরুট খেলে কি ফর্সা হওয়া যায়?
  • শিশুদের কি এটি খাওয়ানো যাবে?
নিম্নে একে একে উত্তর দেওয়ার চেস্টা করেছি...............
  • একদিনে সাধারনত অর্ধেক গ্লাস বা এক গ্লাস রস পান করা যায় । তবে খেয়াল রাখতে হবে এর চেয়ে যেন বেশি না হয়ে যায়।
  • হ্যাঁ । গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া যাবে তবে চেস্টা করতে হবে একদম সীমিত পরিমাণে পান করার
  • না । বিটরুট খেলে ফর্সা হওয়া যায় না চেহেরার উজ্জ্বলতা সৃষ্টিগত তবে এইটা সত্য বিটরুট জুস ত্বককে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে থাকে।
  • তিন মাসের কম বয়সি বাচ্চাদের এইটি সরাসরি দেওয়া উচিত নয় । তবে এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাকেই আমি সমর্থন করবো।

শেষ কথা ঃ বিটরুট জুস এর উপকারিতা 

বিটরুট জুস এর উপকারিতা সম্পর্কিত এই ব্লগের শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে, ধন্যবাদ। আশা করি আজকের ব্লগ থেকে কিছু হলেও আপনাদের কে জানাতে পেরেছি । বিটরুট জুস শুধু একটি পানীয় নয়, এটি শরীরের যত্ন নেওয়ার একটি সহজ উপায়।

তাই আসুন আজকে থেকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক গ্লাস বিটরুট জুস যোগ করি। বিটরুট জুস আমাদের দেহের ভেতর থেকে সুস্থতা ফিরিয়ে আনে। এতে থাকা ভিটামিন শরীরকে শক্তি দেয়, রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং ত্বকে আনে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। তাই আসুন প্রতিদিন এক গ্লাস বিটরুট জুস পান করার অভ্যাস গড়ে তুলি। সুস্থ জীবনের পথে এই ছোট্ট অভ্যাসটিই হতে পারে আপনার আমার জন্য একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা।

তাহলে আর দেরি কেন? এখনই ফ্রিজ খুলে এক গ্লাস বিটরুট জুস পান করুন  আর নিজেকে বলুন "আমি মোটা না আমি শুধু একটু স্বাস্থ্যপ্রেমী"

পরের ব্লগটি কি নিয়ে লেখা যায় কমেন্ট করে জানাবেন আশা করছি । ততক্ষণের জন্য সকলে ভালো থাকুন এবং ভালো খাদ্য অভ্যাস মেনে একটি সুস্থ জীবণ উপভোগ করুন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The ClickEra এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। কারণ,আপনাদের প্রতিটি কমেন্টে আমরা নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা পাই।

comment url